টাঙ্গাইল-৮ হল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার একটি। এটি টাঙ্গাইল জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ১৩৭নং আসন।

সীমানা

টাঙ্গাইল-৮ আসনটি টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলা ও সখিপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত।

নির্বাচিত সাংসদ

নির্বাচন সদস্য দল
  ১৯৭৩ ফজলুর রহমান ফারুক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
  ১৯৭৯ মোরশেদ আলী খান পন্নী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
সীমানা পরিবর্তন
  ১৯৮৬ শওকত মোমেন শাহজাহান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
  ১৯৮৮ মোরশেদ আলী খান পন্নী জাতীয় পার্টি
  ১৯৯১ হুমায়ুন খান পন্নী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
  ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
  জুন ১৯৯৬ আবদুল কাদের সিদ্দিকী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
  ১৯৯৯ উপ-নির্বাচন শওকত মোমেন শাহজাহান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
  ২০০১ আবদুল কাদের সিদ্দিকী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ
  ২০০৮ শওকত মোমেন শাহজাহান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
  ২০১৪ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
  ২০১৪ উপ-নির্বাচন অনুপম শাহজাহান জয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
  ২০১৮ জোয়াহেরুল ইসলাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

নির্বাচন

২০১০-এর দশকে নির্বাচন

২০১৪ নির্বাচনের প্রায় দুই সপ্তাহ পরে শওকত মোমেন শাহজাহান মৃত্যুবরণ করেন। মার্চ ও এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে তার ছেলে অনুপম শাহজাহান জয় নির্বাচিত হন।

বিরোধীদলগুলি ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন বর্জন করে তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিলে শওকত মোমেন শাহজাহান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

২০০০-এর দশকে নির্বাচন

সাধারণ নির্বাচন ২০০৮: টাঙ্গাইল-৮
দল প্রার্থী ভোট % ±%
  আওয়ামী লীগ শওকত মোমেন শাহজাহান ১৩৪,৬২৬ ৫৬.০ +২৭.১
  বিএনপি আহমেদ আজম খান ৬৫,৫২১ ২৭.২ +০.১
  কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আবদুল কাদের সিদ্দিকী ৩৮,৭৭৫ ১৬.১ -২৬.৬
  জেএসডি শফিউল আলম ৭৫৬ ০.৩ প্র/না
  বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি শাহিদুজ্জামান লাল মিয়া ৫৬৭ ০.২ প্র/না
  এলডিপি শেখ ফারুকুজ্জামান ২৯৩ ০.১ প্র/না
সংখ্যাগরিষ্ঠতা ৬৯,১০৫ ২৮.৭ +১৪.৯
ভোটার উপস্থিতি ২৪০,৫৩৮ ৮৮.৮ +১৭.৮
  কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে আওয়ামী লীগ অর্জন করে
সাধারণ নির্বাচন ২০০১: টাঙ্গাইল-৮
দল প্রার্থী ভোট % ±%
  কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আবদুল কাদের সিদ্দিকী ৮০,৫৫৮ ৪২.৭  
  আওয়ামী লীগ আবদুস সালাম খান ৫৪,৫০৫ ২৮.৯  
  বিএনপি আহমেদ আজম খান ৫১,১৩৫ ২৭.১  
  ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট রেজাউল করিম ১,৩০৬ ০.৭  
  স্বতন্ত্র নাসির উদ্দিন ৮৭৭ ০.৫  
  জেপি (মঞ্জু) নীলফামার ইয়াসমিন ৩৫১ ০.২  
সংখ্যাগরিষ্ঠতা ২৬,০৫৩ ১৩.৮  
ভোটার উপস্থিতি ১৮৮,৭৩২ ৭১.০  
  আওয়ামী লীগ থেকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ অর্জন করে

১৯৯০-এর দশকে নির্বাচন

১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নিয়ে দলের সঙ্গে মতবিরোধ হলে আবদুল কাদের সিদ্দিকীকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি তখন সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন, ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নভেম্বর ১৯৯৯ সালের উপ-নির্বাচনে দাড়ান। উপ-নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শওকত মোমেন শাহজাহানের কাছে পরাজিত হন।

সাধারণ নির্বাচন জুন ১৯৯৬: টাঙ্গাইল-৮
দল প্রার্থী ভোট % ±%
  আওয়ামী লীগ আবদুল কাদের সিদ্দিকী ১০০,৩০৩ ৬২.৬ +১৭.১
  বিএনপি কামরুজ্জামান খান ৩৫,৩৪৩ ২২.১ -২৫.২
  জাতীয় পার্টি (এ) শাহ খালেদ রেজা ২০,৪৮৫ ১২.৮ +৭.৯
  জামায়াতে ইসলামী খন্দকার আবদুর রাজ্জাক ২,৫৮২ ১.৬ প্র/না
  ফ্রিডম পার্টি এ বাসেদ ৮৮৫ ০.৬ প্র/না
  জাকের পার্টি সোহরাব আলী ৩৬৩ ০.২ -০.১
  গণফোরাম এরশাদুল হক বুলবুল ১৬৮ ০.১ প্র/না
সংখ্যাগরিষ্ঠতা ৬৪,৬৯০ ৪০.৪ +৩৮.৬
ভোটার উপস্থিতি ১৬০,১২৯ ৭৮.৪ +২৩.৬
  বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগ অর্জন করে
সাধারণ নির্বাচন ১৯৯১: টাঙ্গাইল-৮
দল প্রার্থী ভোট % ±%
  বিএনপি হুমায়ূন খান পন্নী ৬১,৩৯৬ ৪৭.৩  
  আওয়ামী লীগ আবদুল কাদের সিদ্দিকী ৫৯,০৮৯ ৪৫.৫  
  জাতীয় পার্টি (এ) মোরশেদ আলী খান পন্নী ৬,৩০৯ ৪.৯  
  জেএসডি (সিরাজ) আবুল হাশেম ১,৫৬২ ১.২  
  জাতীয় যুক্তফ্রন্ট আশরাফ আলী ৫৫৮ ০.৪  
  জাকের পার্টি আবদুল্লাহ মিয়া ৩২২ ০.৩  
  জেএসডি এ সামাদ ২৭১ ০.২  
  এনডিপি খন্দকার রুহুল আমিন সেলিম ২৩৩ ০.২  
সংখ্যাগরিষ্ঠতা ২,৩০৭ ১.৮  
ভোটার উপস্থিতি ১২৯,৭৪০ ৫৪.৮  
  জাতীয় পার্টি (এ) থেকে বিএনপি অর্জন করে