সু চির সাজার মেয়াদ বেড়ে ৩৩ বছর

দুর্নীতির দায়ে মিয়ানমারের সাবেক স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি কে আরও সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন একটি সামরিক আদালত। এ নিয়ে জান্তার আদালতে তার মোট সাজা হলো ৩৩ বছর। শুক্রবার তাকে পাঁচ অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন আদালত। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

সামরিক শাসিত মিয়ানমারের একটি গোপন আদালত শুক্রবার সু চির বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষণা করেন। মূলত মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো বা প্রকৃত নেতা থাকাকালীন সরকারের একজন মন্ত্রীর জন্য হেলিকপ্টার ভাড়া এবং এর ব্যবহার সংক্রান্ত অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবারের এ রায়টি হলো ৭৭ বছর বয়সি সু চির চূড়ান্ত শাস্তি। তিনি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে পাঁচ বছর ধরে মিয়ানমারকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

শুক্রবারের রায়ে সু চিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, উদ্ধার ও জরুরি অবস্থাসহ রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহারের জন্য হেলিকপ্টার ক্রয়, মেরামত ও ভাড়াসংক্রান্ত দুর্নীতির জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তিনি এখন তিন বছরের কঠোর শ্রমসহ মোট ৩৩ বছরের কারাদণ্ডের মুখোমুখি হয়েছেন।

এ রায়ের অর্থ তিনি তার বাকি জীবন কারাগারের পেছনে কাটাতে পারেন। তিনি এর আগে নির্বাচনি জালিয়াতি এবং ঘুসগ্রহণসহ একাধিক অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

সু চি তার বিরুদ্ধে আরোপিত সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং তার আইনজীবীরা জানান, তারা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাকে রাজধানী নেপিদোর একটি কারাগারে নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে এবং তার বিচার বন্ধ দরজার পেছনে হয়েছে।

এদিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ঐতিহাসিক প্রস্তাবে মিয়ানমারের নেতা অং সান সু চির মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশে গণতন্ত্রপন্থি কর্মীদের শাস্তির বিষয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অধিকার গোষ্ঠীগুলো।

গত সপ্তাহে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি) স্বাধীনতার পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে পাস করা প্রথম প্রস্তাবে সু চি ও সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ সব রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য সামরিক জান্তার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

জান্তা সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে দুই বছরে মিয়ানমারে স্বাধীনতা ও অধিকারের উল্লেখযোগ্য অবনতি হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মৃত্যুদণ্ড ফিরে এসেছে এবং সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য হাজার হাজার লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Share this post

PinIt
submit to reddit

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top