রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির ‘অপপ্রচারের’ কারণে কূটনীতিকদের ‘দ্বিধাদ্বন্দ্ব’ দূর করতে ঢাকার মিশনগুলোতে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
ঢাকায় মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের দেশের যত রাষ্ট্রদূত বা হাই কমিশনার বিদেশে কর্মরত আছেন, তাদেরকে আমরা ব্রিফ নোট পাঠিয়েছি এবং সেটারই কপি আমরা এখানে দূতাবাসগুলোতেও দিয়েছি।
কারণ, আমাদের কাছে তথ্য আছে- ১০ তারিখের পর থেকে সকাল-বিকাল, সন্ধ্যা-দুপুর, বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা একেক দূতাবাসে যাচ্ছেন।বিভিন্ন ধাপের কূটনীতিক বা কর্মকর্তাদের সঙ্গে তারা দেন-দরবার করছেন। আমরা কোনো ব্রিফিং বা অন্য কিছু অ্যারেঞ্জ করতে চাইনি, সেজন্য আমরা আমাদের যে ইনফরমেশন শিট সেটা দিয়েছি।
৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সংঘাত, গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির সমাবেশ এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার বিষয়ক তথ্যগুলো ওই চিঠিতে তুলে ধরা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
এক প্রশ্নে শাহরিয়ার আলম বলেন, নির্বাচনের আগে ঢাকা নগরীতে বা বাংলাদেশে এ ধরনের একটা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যদি কোনো কনফিউশন থাকে, মিসইনফরমেশন থাকে, আমরা আশঙ্কা করছি যে বিএনপি যে পরিমাণ বৈঠক তাদের সঙ্গে করেছেন, আমাদের উচিৎ- আসল তথ্যটা জানিয়ে দেওয়া কেউ জিজ্ঞেস করার আগেই। আমরা শুধু ফর ইউর ইনফরমেশন এভাবে পাঠিয়েছি।
মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতারের বিষয়টিও দূতাবাসগুলোকে জানানোর কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রেফতারের যে বিষয়টি তাদেরকে জানিয়েছি, সেটা হলো তাদের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, এটার প্রাথমিক তদন্তের জন্য তাদেরকে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছে যে পরিমাণ তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং তাদেরকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে তারা জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন, বিজ্ঞ আদালত জামিনযোগ্য মনে করেননি, তাদেরকে জামিন দেননি, এই প্লেইন অ্যান্ড সিম্পল তথ্যগুলো আমরা বাংলাদেশে কার্যরত কূটনীতিকদেরকে দিয়েছি।
এ ধরনের চিঠি পাঠানোকে ‘স্বাভাবিক’ হিসাবে বর্ণনা করে শাহরিয়ার বলেন, এটা নতুন নয়। বাংলাদেশে বা ক্যাপিটালে মেজর কিছু ঘটলে আমরা সবাইকে জানিয়ে রাখি। এটা একেবারে স্বাভাবিক কূটনৈতিক চর্চার মধ্যে পড়ে।এটা অতীতেও হয়েছে।
যে পরিকল্পনা নিয়ে বিএনপি ১০ ডিসেম্বর তারিখে সভা আয়োজন করেছিল, তা ভেস্তে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১০ ডিসেম্বর তারিখটা তারা বেছে নিয়েছিল কারণ ৯ তারিখ কিছু বড় দেশ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয় বা তালিকাটা প্রকাশ করে।