বিশ্বকাপে নজর থাকবে যাদের দিকে

কাতার বিশ্বকাপে যাদের দিকে নজর থাকবে-

লিওনেল মেসি

আর্জেন্টিনার অধিনায়ক মেসি। শেষবার বিশ্বকাপ খেলতে নামবেন মেসি। আর্জেন্টিনার সব চেয়ে বড় ভরসা। চারটি বিশ্বকাপ খেললেও এখনো পর্যন্ত ট্রফি জিততে পারেননি মেসি। এবারই শেষ সুযোগ। ট্রফি জেতা ছাড়াও দিয়েগো ম্যারাডোনাকে টপকে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে তার সামনে।

নেইমার

ব্রাজিলের প্রধান ফুটবলার নেইমার। ২০১১ সালে অভিষেকের পর থেকে অনেক কিছুই বদলেছে তার জীবনে। উত্থান-পতন দেখেছেন। সাফল্যও রয়েছে। ৩০ বছর বয়সে এবার তার কাছে বিশ্বকাপ চাইছে ব্রাজিল। পরের বিশ্বকাপে খেলবেন কিনা, জানেন না নেইমার। খেললেও বয়স অনেক বাড়বে। তাই ট্রফি হাতে তোলার এটাই নেইমারের শেষ সুযোগ। ক্লাবস্তরে প্রায় সব ট্রফিই জিতেছেন। বিশ্বকাপটা বাকি।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো

পর্তুগালের অধিনায়ক রোনালদো। ১৯ বছর ধরে দেশের হয়ে খেলছেন। আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার ইঙ্গিত দেননি। ২০২৪ পর্যন্ত দেশের হয়ে খেলতে পারেন তিনি। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ জিততে পারেননি। পাঁচবার ফিফার সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন রোনালদো। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন তিনি। ১৯১ ম্যাচে ১১৭টি গোল রয়েছে তার। রোনাল্ডোর দিকে তাকিয়ে পর্তুগাল।

থমাস মুলার

জার্মানি দলের স্ট্রাইকার মুলার। ফুটবল বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১৬ ম্যাচ খেলে ১০টি গোল করেছেন তিনি। নিজের দেশেরই মিরোস্লাভ ক্লোজেকে (১৬টি গোল) ছাপিয়ে যাওয়ার সুযোগ তার রয়েছে।

করিম বেনজেমা
রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকা ফুটবলার পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পর ক্লাবের মূল স্তম্ভ তিনি। দীর্ঘদিন ধরে চলা ঝামেলার জেরে কোচ দিদিয়ের দেশম অনেক দিন তাকে দলে নেননি। কিন্তু ক্লাবের হয়ে দুরন্ত ছন্দ দেখে দূরে রাখতে পারেননি।

হ্যারি কেইন

ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক হ্যারি কেইন। গোলের জন্য তার দিকেই তাকিয়ে থাকে ইংল্যান্ড। আট ম্যাচে ১২টি গোল করেছেন। প্রতি ৪৯ মিনিটে একটি গোল করেছেন ২৯ বছর বয়সি এই স্ট্রাইকার।

কেভিন ডি ব্রুইনা

বেলজিয়ামের মাঝমাঠে থাকবেন কেভিন দ্য ব্রুইনা। ম্যানচেস্টার সিটির এই তারকা ফুটবলারের দিকে নজর রাখতেই হবে। একার ক্ষমতায় ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন তিনি।

ফ্র্যাংকি ডি জং

এবারের বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের প্রধান ভরসা ফ্র্যাংকি ডি জং। মাঝমাঠে তিনিই তৈরি করেন দলের খেলা। ২৫ বছরের ফুটবলারের সবচেয়ে বড় গুণ পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে পারার ক্ষমতা। তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করেন কোচ।

গাভি

মাত্র ১৮ বছর বয়স হলেও স্পেনের কোচ লুই এনরিকের প্রধান ভরসা তিনি। মাঝমাঠে খেলেন। একই সঙ্গে আক্রমণ ও রক্ষণে সমান দক্ষ। গাভির সবচেয়ে বড় সুবিধা, আন্তর্জাতিক ফুটবলে তিনি আনকোরা। তাই প্রতিপক্ষ তাকে নিয়ে বেশি পরিকল্পনা করতে পারবে না। সেই সুবিধা কাজে লাগাতে চাইছেন এনরিক।

Share this post

PinIt
submit to reddit

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top