বিশ্বকাপে মুখোশ পরে খেলবেন তিনি

দক্ষিণ কোরিয়া ফুটবলের পোস্টার বয় সন হিউং-মিন। এশিয়ান ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা। তাকে ঘিরেই সব প্রত্যাশা এশিয়ার এই সেরা দলটির।

কিন্তু চোট সারাতে বাঁ-চোখে অস্ত্রোপচার করে কাতার বিশ্বকাপে এ তারকার অংশ নেওয়া নিয়েই চলছিল শঙ্কা।

তবে দেশের স্বার্থে এমন শারীরিক অবস্থা নিয়েও মাঠে নামতে প্রস্তুত সন। ঝুঁকি নিয়েও বিশ্বকাপ খেলতে চান টটেনহাম ফরোয়ার্ড।

তা হলে চোখের কি হবে? এ জন্য চিকিৎসক একটি উপায় বাতলে দিয়েছেন তাকে। তা হলো মুখোশ পরে খেলার।

বিশ্বকাপে প্রতিরক্ষামূলক মুখোশ পরেই মাঠে নামবেন সন হিউং-মিন। এর পরও গ্রুপপর্বে দক্ষিণ কোরিয়ার সব ম্যাচে তার খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না।

সন জানালেন, চোখের যে অবস্থা তাতে বিশ্রামই শ্রেয়। কিন্তু বিশ্বকাপ মিস করা যাবে না। যতটা সম্ভব চেষ্টা করবেন মাঠের লড়াইয়ে নামার। ভক্তদের মুখে হাসি ফোটাতে যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে রাজি তিনি।

মুখোশ পরে খেলার অনুশীলনও শুরু করে দিয়েছেন সন। দোহায় জাতীয় দলের সঙ্গে দেখা গেল মুখোশ লাগানো সনকে।

অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের সন বললেন, ‘আমি চিকিৎসক নই। তাই এ পরিস্থিতি নিয়ে খেলতে পারব কিনা স্পষ্ট বলতে পারছি না। প্রতিটি ম্যাচ খেলতে পারব কিনা তাও জানি না। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব।  ফুটবলাররা সবসময় এ ধরনের ঝুঁকির মধ্যেই লড়াই করে। আমি শুধু আমাদের সমর্থকদের আনন্দ দিতে ও ভরসা জোগাতে চাই। এ জন্য আমি ঝুঁকি নিতেও রাজি।’

চলতি মাসে চ্যাম্পিয়নস লিগে মার্সেইয়ের বিপক্ষে টটেনহ্যামের ২-১ গোলের জয়ের ম্যাচে প্রথমার্ধে চোট পান হিউং-মিন। ২৩তম মিনিটে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে সংঘর্ষে বাঁ চোখের পাশে আঘাত পাওয়ায় তাকে তুলে নেওয়া হয়।

চোট সারিয়ে তুলতে এর পর হিউং-মিনের অস্ত্রোপচার করানো হয়। কিন্তু এরই মধ্যে বিশ্বকাপ চলে এলো।

বিশ্বকাপে কোরিয়া আছে ‘এইচ’ গ্রুপে। প্রথম ম্যাচ আগামী ২৪ নভেম্বর, তাদের প্রতিপক্ষ উরুগুয়ে। এই গ্রুপের অন্য দুদল পর্তুগাল ও ঘানা।

Share this post

PinIt
submit to reddit

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top