ওই রাতে কেন বারবার স্থান পরিবর্তন করেছিলেন ফারদিন?

বুয়েট ছাত্র ফারদিনের হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি আইনশৃংখলা বাহিনী। কয়েকটি ক্লু ধরে কাজ করছে ডিবি।

নিখোঁজ হওয়ার আগে ৩ নভেম্বর রাতে ফারদিনের ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে ডিবির।

এ বিষয়ে ডিবিপ্রধান হারুর অর রশীদ যুগান্তরকে বলেন,  ঘটনার দিন রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ফারদিনের অবস্থান ছিল রামপুরায়। রাত ১১টার ছিলে কেরানীগঞ্জে। সোয়া ১১টায় ছিলেন জনসন রোডে। রাত ১টায় ছিলেন গুলিস্তানে। এত দ্রুত তিনি কেন স্থান পরিবর্তন করেছেন, সেটি এখনো আমাদের কাছে রহস্যজনক।

আমরা সেই রহস্য রের করার চেষ্টা করছি। তাকে প্রলোভন দেখিয়ে, নাকি জোর করে এসব স্থানে নেওয়া হয়েছে, সেটিও আমরা খতিয়ে দেখছি। তার মুভমেন্ট, গতিবিধি গভীরভাবে পর্যালোচনার পাশাপাশি আমরা এটিও বের করার চেষ্টা করছি যে, ঘটনার রাতে ফারদিন কোনো কারণে মানসিক বিপর্যস্ত ছিল কি না।

কিন্তু তার বন্ধবী বুশরাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত তিনি ফারদিনের সঙ্গে ছিলেন, ওই সময় পর্যস্ত তাকে খুবই স্বাভাবিক মনে হয়েছে। তারা রেস্টুরেন্টে একসঙ্গে খেয়েছেন। তবে দুজন আলাদাভাবে বিল পরিশোধ করেছেন।
৪ নভেম্বর নিখোঁজ হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ। ৭ নভেম্বর শীতলক্ষ্যা নদীতে তার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তার বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা বাদী হয়ে ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বুশরাকে গ্রেফতারের পর ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ডের শেষে ইতোমধ্যে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তার কাছ থেকে খুনের বিষয়ে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে ডিবি জানায়।

Share this post

PinIt
submit to reddit

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top