‘রাশিয়া-ন্যাটোর মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষ বাধাতে চায় ইউক্রেন’

পোল্যান্ডে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনায় রাশিয়াকে দায়ী করে ওয়ারশ ও কিয়েভ যে বিবৃতি দিয়েছে সেটি সরাসরি রাশিয়া-ন্যাটোর মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটানোর পায়তারা। এমন মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার নিযুক্ত জাতিসংঘের দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া।

বুধবার পোল্যান্ড ও ইউক্রেনের বিবৃতির পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, যদি জলবায়ু সম্মেলন না হতো, তবে রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষ বাধানোর জন্য ইউক্রেন এবং পোল্যান্ডের অপচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করার জন্য বৈঠক ডাকা হতো। এ দুদেশের নেতৃত্বের দ্বারা দেওয়া সম্পূর্ণ দায়িত্বজ্ঞানহীন বিবৃতি বলা যায়।

নেবেনজিয়া বলেন, পোল্যান্ডে বিস্ফোরণের পর পরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি হামলার জন্য রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেন। এ বিবৃতি এমন একজন ব্যক্তি করেছেন যে, এ তথ্য জানাতে ব্যর্থ হতে পারে না যে এটি একটি বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দ্বারা ছোড়া ইউক্রেনীয় ক্ষেপণাস্ত্র ছিল।

নেবেনজিয়া বলেন, এর মানে এটি শুধু ইচ্ছাকৃত বিভ্রান্তি নয়; বরং ইউক্রেনে রাশিয়ার সঙ্গে প্রক্সি যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া ন্যাটোকে আমাদের দেশের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে জড়ানোর জন্য একটি ঠাণ্ডা মাথার প্রচেষ্টা ছিল।

তিনি আরও বলেন, পোল্যান্ডের সরকার খুব বেশি আলাদা ছিল না। কারণ তারা শুরু থেকেই পুরো আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছিল যে, তারা রাশিয়ার আক্রমণের শিকার হয়েছে। সেই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাতেই রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায় এবং তাকে একটি দৃঢ় প্রতিবাদ জানায়।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল থেকে প্রথম ছবি, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, এটি একটি ইউক্রেনীয় বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র, যা পোল্যান্ডে পড়েছিল।

সূত্র: তাস নিউজ।

Share this post

PinIt
submit to reddit

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top