টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি পদে হাসানুজ্জামিল শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) রাতে নির্বাচনি ফল ঘোষণা করেন ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ।
সম্মেলনে জেলার প্রত্যেকটি উপজেলা, ইউনিয়ন ও পৌর বিএনপির ১০১ সদস্য বিশিষ্ট ২৩টি ইউনিটের দুই হাজার ৩২৩ জন ডেলিগেট ভোটাধিকার প্রয়োগের কথা থাকলেও ভোট দেন দুই ১১৫ জন।সম্মেলনে ১৩৮২ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসানুজ্জামিল শাহীন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আলী ইমাম তপন পেয়েছেন ৫৮৭ ভোট আর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছাইদুল হক ছাদু পান ৭৭ ভোট।এছাড়া ১২৬০ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু পান ৭৯১ ভোট।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে টাঙ্গাইল পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম আকুরটাকুরপাড়া ঈদগাঁ মাঠে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো, শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, নির্বাহী কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম, ওবায়দুল হক নাছির ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ নভেম্বর অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানকে আহ্বায়ক ও মাহমুদুল হককে সদস্য সচিব করে জেলা বিএনপির ৪৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের পর আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের নেতৃত্বে দুটি ধারা তৈরি হয়। গত ৩ আগস্ট পুরোনো আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র।এই কমিটিতে আহমেদ আযম খানকে পুনরায় আহ্বায়ক করা হয়। কিন্তু সদস্য সচিবসহ কয়েকজন সিনিয়র নেতা বাদ পড়েন। এ নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। আহমেদ আযম খান বিরোধীরা সাবেক সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ছাইদুল হক ও সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হকের নেতৃত্বে পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। এ বিরোধের অংশ হিসেবে ১ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় সম্মেলনের তফসিল বেআইনি ও অকার্যকর ঘোষণার আদেশ চেয়ে আদালতে গত ২৬ অক্টোবর মামলা করেছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান শফিকুল ইসলাম। পরে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশে পরদিন তিনি মামলা প্রত্যাহার করেন। প্রায় ১৩ বছর পর জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো।