ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভায় টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় চারজন আহত হয়েছেন।
শনিবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ ঘটনার পর ভুঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের বাজার এলাকার সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়।পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আওয়ামী লীগের অফিসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নতুন করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে ভুঞাপুর থানার ওসি মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানিয়েছেন।ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, আগামী ৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে সফল করতে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি সভার আহ্বান করা হয়। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে সভা চলছিল ।
এ সময় সংসদ সদস্যের অনুসারীরা স্লোগান দিতে দিতে সেখানে প্রবেশ করে এবং তার নেতাকর্মীদের মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে এমপির অনুসারীদের সঙ্গে তার দলের লোকজনের ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটে।আওয়ামী লীগ নেতার দাবি, এ ঘটনায় তার অন্তত চার অনুসারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
মাসুদ বলেন, “ঘটনার পর সংসদ সদস্য তার অনুসারীদের সঙ্গে মিছিল নিয়ে বের হয়ে যান। পরে পুলিশ এসে আমাদের কার্যালয় থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। আমরা কার্যালয় ছেড়ে বের হলে পুলিশ সেটি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।”
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য ছোট মনির সাংবাদিকদের বলেন, “নবনির্বাচিত জেলা পরিষদের সদস্য খাইরুল আলম এবং উপজেলা সভাপতি মাসুদুল হক মাসুদের লোকদের মধ্যে বালু নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে এই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। এখানে আমার লোকজন কিছু করে নাই।”