শিক্ষার্থী ছাড়াই মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিবস পালিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিরোধী ও অধিকার ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ এনে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সব বিভাগের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি, ছাত্র সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সব কর্মসূচি বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে কর্তৃপক্ষ যেসব কর্মসূচি নিয়েছে সেটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিরোধী এবং এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে এসব কর্মসূচিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ব্যথিত ও মর্মাহত।
শিক্ষার্থীরা জানায়, বিগত বছরগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে জমকালো আয়োজনে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিতকরণ, আনন্দ শোভাযাত্রা, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য টি-শার্ট, প্রতিটা হলে ফিস্ট মিল ও মুক্তমঞ্চে কনসার্টের সুবিধা রাখা হলেও এ বছর সেটি করা হয়নি।বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নিবিড় পাল বলেন, বিগত বছর গুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য যেসব সুবিধা রাখা হয়েছিল এবার তার কিছুই রাখা হয়নি। আমরা ভাইস চ্যান্সেলর স্যারকে অনুরোধ করেছিলাম প্রয়োজনে বিগত বছরের মত ২৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের দিন পিছিয়ে নিতে। কিন্তু স্যার আমাদের কোনো কথা না রেখে একক সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থী ছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা মানিক শীল বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করলেও আমাদের কোনো দাবি রাখেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের ব্যবহারে ক্ষুব্ধ।বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শুভ দে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের সংবাদ প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. মো. ফরহাদ হোসেনের মোবাইলে কল দিলে তিনি বলেন, মিটিংয়ে ব্যস্ত আছি, এ মুহূর্তে কথা বলা সম্ভব নয়।এর আগে ১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০১ সালের ১২ জুলাই জাতীয় সংসদে বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাশ হয়। সেটি কার্যকর হয় ২০০২ সালের ২১ নভেম্বর এবং একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে ২০০৩ সালের ২৫ অক্টোবর।