ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্র হত্যা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম। মামলার ১৯ আসামির মধ্যে সাতজনের মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। মেয়রসহ ৯ আসামি খালাস পেয়েছেন।
ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মনির কামাল সোমবার আসামিদের উপস্থিতিতে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
ইউসিসিএ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান শুভ্র ২০২০ সালের গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদের প্রার্থী ছিলেন। ওই বছর ১৭ অক্টোবর পৌর শহরের পানমহালে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামি হলেন ময়মনসিংহের মইলাকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াদ উজ্জামান, গৌরীপুরের ছাত্রদলের নেতা সাকিব আহমেদ, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোজাম্মেল হক, খাইরুল ইসলাম, মাঈন উদ্দিন, রুহুল আমিন ও শরীফুল ইসলাম নাঈম। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া তিনজন হলেন মাসুদ পারভেজ, ছাত্রদলের শরীয়তউল্লাহ সুমন ও যুবদলের রাসেল মিয়া।
জানা যায়, গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থী ছিলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্র। ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর শহরের মধ্যবাজার পানমহালে নির্মমভাবে কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন বিচারের দাবিতে টানা ২১ দিন সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করে। ২০২১ সালের ৫ মে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (বর্তমানে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ওসি) মো. শাহ কামাল আকন্দ।
প্রতিবেদনে চার্জশিটভুক্ত ১৪ জন ছাড়াও মামলার তদন্তকারী অফিসার অনুসন্ধানে আরও পাঁচজনের সম্পৃক্ত পাওয়ায় ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে এ প্রতিবেদন দেন।