‘অর্থনৈতিক মন্দা এড়াতে কৃষির উপর নজর দিতে হবে’

রিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা হলে বাংলাদেশের উপর প্রভাব অবশ্যই পড়বে৷ তবে বড় রাষ্ট্রগুলোর উপর যেভাবে পড়বে বাংলাদেশে সেভাবে পড়বে না। কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের উচ্চ অর্থনীতির সাথে যোগাযোগ এতটা সরাসরি নয় ।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির সাথে বড় রাষ্ট্রগুলোর অর্থনীতির যোগাযোগ ঘুরিয়ে পেচিয়ে। এজন্য আমাদের উপর আক্রমন অবশ্যই হবে, যেহেতু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তিটা দুর্বল আঘাতটা বেশি লাগবে অর্থনীতিতে।

শুক্রবার রাতে সিলেটে পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সুধী সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় এম এ মান্নান বলেন, আমি যেটা আশা করি সারা বিশ্বে সবাই মিলে এটাকে মোকাবেলা করার চেষ্টা করা হবে। অতীতে দুই চারবার যে হয়নি এমনটা নয়, এবারও এটাকে মোকাবেলা করা হবে। সবার যা হবে আমারা তার বাইরে নই।

এ সংকট মোকাবেলায় কৌশল কি হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি যেটা মনে করে সাধারণ মানুষ হিসেবে। আমার ধারণা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও তাই করবেন। আমাদেরকে আমাদের ঘর গোছাতে হবে, মোট কথা আমাদের ব্যয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ঢেউ উঠলে আমাদের বাপ দাদারা নৌকা চালাতেন একটু সাবধানে। এখন অর্থনৈতিক সংকটের একটি ঢেউ আসছে। এই ঢেউয়ের সময়ে নৌকার কান্ডারি শেখ হাসিনা নৌকাটাকে একটু সাবধানে নিয়ে যেতে হবে। ঢেউয়ের উপর রাশ টানতে হবে। ব্যয়ের রাশ টেনে ধরতে হবে এবং উন্নয়ন প্রকল্পগুলো পুনর্বিন্যাস করতে হবে। যেগুলো আতে লাগে শিক্ষা, কৃষি, যোগাযোগ এগুলোকে সচল রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সাংস্কৃতিক খেলাধুলা যেগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু অতিজরুরি নয়। যেমন ফুটবল মাঠ একটা আছে, আরেকটা করলে ভালো। এগুলো পরে করলেও চলে, এটা একটা উদাহরণ। ব্যয় পূনর্বিন্নাস আর পূর্বপুরুষের পেশা কৃষির উপর নজর এখন ভালো আছে, এভাবে থাকলে আমি খুব একটা ভীত নই।

সবশেষ  আইএমএফ এর কাছ থেকে বাংলাদেশের ঋণ প্রাপ্তির অগ্রগতি জানতে চাইলে এম এ মান্নান বলেন, আইএমএফ খুবই ইতিবাচক। তাদের দুই একজনের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগতভাবে কথা হয়েছে। আমি এ ব্যাপারে আশাবাদী। এই ঋণ বাংলাদেশ অবশ্যই পাবে কারণ বাংলাদেশ ভালোভাবে ঋণ পরিশোধ করে।

Share this post

PinIt
submit to reddit

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top