বিয়ে-সন্তান নিয়ে অনাগ্রহ, চিন্তায় চীন সরকার

হংকংভিত্তিক গণমাধ্যম সাউথ চায়ন মর্নিং বেশ কয়েকজন নারীর সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলে। তাদের মধ্যে একজন হলেন বেইজিংয়ের তরুণী ঝাং হানজিং। তিনি সরাসরি বলেছেন, বিয়ে ও সন্তান নেওয়া নিয়ে তার কোনো আগ্রহ নেই। নিজের বান্ধবীদের দেখেই তিনি তার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। ঝাং হানজিংয়ের মতো আরও কয়েক হাজার তরুণীর এমন অনাগ্রহের কারণে চিন্তায় পরেছে চীন সরকার।

এক সময় এক সন্তান নীতি ব্যবহার করত চীন সরকার। এ কারণে তরুণ প্রজন্মের বদলে এখন চীনে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। এ নিয়েই চিন্তিত তারা।

কারণ একটি দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হলো তরুণ-তরুণীরা।

২০১৫ সালের পর এক সন্তান নীতি পরিহার করে চীন। এখন তিন সন্তান নেওয়ার জন্যও উদ্বুদ্ধ করে থাকে সরকার। কিন্তু এতেও পরিস্থিতির একটুও পরিবর্তন হয়নি।

চীনের জনসংখ্যা কমে যাওয়ার সমস্যার বিষয়টি প্রথম সামনে আনেন জনসংখ্যাবিদ উই ফুসিয়ান। তার মতে জনসংখ্যা কমার বিষয়টি জাতীয় নিরাপত্তার পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া উচিত। ১৫ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন-মাডিসনের এই বিজ্ঞানী চীনের জনসংখ্যা নিয়ে সতর্কতা দিয়েছিলেন।

এ মাসের শুরুতে চীনে প্রথমবারের মতো জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানায়, ২০২৫ সালে চীনে জনসংখ্যা বর্তমান সংখ্যা থেকে কমে যাবে।

তরুণ-তরুণীদের বিয়ে করা ও সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধ করতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে সরকার। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যেসব নারী সন্তান জন্ম দেবেন তাদের কাজের ক্ষেত্র সহজ করে দেওয়া হবে।

চীনে কেন সাধারণ মানুষের মধ্যে বিয়ে নিয়ে অনাগ্রহ বাড়ছে এর কারণ খুঁজে বের করতে ইতিমধ্যে একটি জরিপ শুরু করেছে দেশটির সরকার।

সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

Share this post

PinIt
submit to reddit

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top