এশিয়া কাপে বুধবার পাকিস্তানের অবিশ্বাস্য এক জয়ের নায়ক নাসিম। শেষ ব্যাটার হয়েও চাপের মুখে শেষ ওভারে দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জেতান নাসিম।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন পড়ে ১১ রানে। উইকেটে ১০ ও ১১ নম্বর ব্যাটার। এ রান স্বীকৃত ব্যাটারদের জন্যই মুশকিল! কিন্তু বাকি ৪ বলের অপেক্ষাই করলেন না নাসিম। ফজলহক ফারুকির পর পর দুই ডেলিভারি উড়িয়ে পাঠান সীমানার বাইরে।
প্রায় হারতে বসা ম্যাচ জিতিয়ে দলকে ফাইনালে পৌঁছে দেন ১৯ বছরের এ তরুণ।
দলের এমন জয়ে নাসিমের প্রশংসা ঝরল পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের কণ্ঠে।
এরই ফাঁকে পাকিস্তান দলের কিংবদন্তি তারকা জাভেদ মিয়াঁদাদের সেই ছক্কার কথা স্মরণ করলেন বাবর। এই শারজাহতেই জন্ম হয়েছিল সেই ইতিহাসের, সম্ভবত ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বিখ্যাত ছক্কা সেটি।
ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শেষ ওভারে ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড়দের মানসিক পরিস্থিতির কথা জানালেন বাবর আজম। বলেন, ‘আমরা সাজঘরে খুব চাপের মধ্যে ছিলাম। ভালো জুটি তৈরি করতে পারিনি আমরা। শেষ কয়েকটা ম্যাচেও এই সমস্যা হয়েছে। কিন্তু নাসিম যে ভাবে ম্যাচ শেষ করল, এক কথায় দুর্দান্ত। ওর ছয় দেখে শারজায় জাভেদ মিয়াঁদাদ ভাইয়ের কথা মনে পড়ে গেছে। শারজাহতে উনি ছক্কা মেরেছিলেন। সেরকম কিছুই হলো আজ।’
এর সঙ্গে ৩৬ বছর আগের শারজায় অস্ট্রালেশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয়ের কথা স্মৃতিচারণ করলেন বাবর।
সেই ম্যাচে শেষ বল থেকে ৪ রান প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের। মিয়াঁদাদ চার নয়, শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে জেতান। শিরোপার স্বাদ পায় ইমরান খানের দল।
বাবরের কথাগুলো শুনছিলেন সঞ্চালক রবি শাস্ত্রী।মিয়াঁদাদের সেই ছক্কার ম্যাচে খেলেছিলেন তিনি। সাবেক ভারতীয় এই অলরাউন্ডারও স্মরণ করলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই হারের কথা।
একটু মজা করে শাস্ত্রী বললেন, ‘আমি ছিলাম সেদিন মাঠে। মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ!’