সম্প্রতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান করে নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী ছাত্র ও টাঙ্গাইল গোপালপুর থানার অন্তর্গত ভেঙ্গুলা বাজারের কৃতি সন্তান মোবারক হোসেন জয় । সম্প্রতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্রাচার্য স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা গেছে।
মুজিব আদর্শের সৈনিক মোবারক হোসেন জয় গোপালপুর উপজেলার ভেঙ্গুলা গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা বাবলু মিয়া এবং গৃহিনী মমতাজ বেগমের ছেলে। জন্মসূত্রেই আওয়ামী পরিবারের সন্তান মোবারক ঢাবির ইতিহাস বিভাগের মেধাবী ছাত্র। তিনি সোহাগ-নাজমুল কমিটির মাস্টারদা সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের এবং পরে সোহাগ-জাকির কমিটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ছিলেন।
সম্প্রতি তিনি মুখোমুখি হয়েছিলেন আমার টাঙ্গাইলের প্রতিবেদকের,আজ শুনবো ছাত্র রাজনীতির অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ও তার ভবিষ্যৎ কর্ম ভাবনা-
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান করে নেয়ার অনুভূতি কি?
মোবারক হোসেন জয়- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনীতি করি। বাংলাদেশের ইতিহাসে মিশে আছে ছাত্রলীগের ইতিহাস। ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে এ পদ পাওয়ায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। নেতৃবৃন্দের কাছে কৃতজ্ঞ। ছাত্রসমাজ ও দেশের জন্য কাজ করে যেতে চাই।
কেন ছাত্র রাজনীতি করেন কিংবা শিক্ষাঙ্গনে কেন ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজন?
মোবারক হোসেন জয়- রাজনীতির সুন্দর ও সাবলীল পথে দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে ছাত্রসমাজ। দেশের কল্যাণ ও সুন্দর সমাজ নির্মাণের আদর্শ ছাত্রদের নিয়ে যেতে পারে এক নতুন সৃষ্টি ও উদ্ভাবনী শক্তি অর্জনের প্রত্যয়ে। সমাজ ও সভ্যতার অগ্রগতির জন্য নতুন দিগন্তের উন্মোচন করে ছাত্রসমাজ। লেখাপড়া, খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে নিজেদের গড়ে তোলে ছাত্ররা। মাটি ও মানুষের জীবনযাপনের সান্নিধ্যে থেকে নির্লোভ-নিরঅহঙ্কার ছাত্রছাত্রীরা দেশের প্রতি আনুগত্য, ভালোবাসা ও দেশপ্রেমের এক নিবিড় বন্ধন প্রতিষ্ঠার দ্বিধাহীন প্রত্যয় নিয়ে শুরু করে তাদের শিক্ষাজীবন ও রাজনীতি।
বাস্তবে কি এর প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই?
মোবারক হোসেন জয়-পঙ্কিল রাজনীতির আবর্তে কারও কারও শিক্ষাজীবনে নেমে আসে গভীর অমানিশা। শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির কালো ছায়ায় নিপতিত হয় অনেক ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ।অথচ ছাত্রসমাজের রয়েছে এক গৌরবময় অতীত। সংগ্রামের অগ্নিমশাল হাতে ছাত্রসমাজ অংশগ্রহণ করেছে মহান ভাষা আন্দোলনে। নেতৃত্ব দিয়েছে বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে ছাত্র-জনতা।গণতন্ত্র, আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার ও স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের বীর সেনানী বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর যোদ্ধা ছাত্রসমাজ। ছাত্রসমাজের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে শ্রমিক, কৃষক, মেহনতী মানুষ। স্বাধীনতার লড়াইয়ে দেশের গ্রামগঞ্জ-শহর-বন্দরে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে ছাত্ররা। ছিনিয়ে এনেছে দেশমাতৃকার স্বাধীনতা।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
মোবারক হোসেন জয়- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন আদর্শিক কর্মী হিসেবে আমৃত্যু কাজ করে যেতে চাই।।