টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির স্থায়ী জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ফের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাসুদ পারভেজ এ আদেশ দেন। এর আগে দীর্ঘ ১৪ মাস আট দিন হাজতবাসের পর গত ১০ ফেব্রুয়ারি শর্ত সাপেক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছিলেন মুক্তি।আদালতের অতিরিক্ত পিপি মনিরুল ইসলাম খান বলেন, এ মামলায় সোমবার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। গত ১০ ফেব্রুয়ারি সহিদুর রহমান খান মুক্তিকে তার অসুস্থতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সুচিকিৎসার জন্য শর্ত সাপেক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য জামিন দেন আদালত। সোমবার মুক্তি আইনজীবীদের মাধ্যমে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন।
অন্যদিকে মামলার বাদি নিহত ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাহার আহমেদ স্থায়ী জামিন নামঞ্জুরের আবেদন করেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, অন্তবর্তী জামিন পাওয়ার পর মুক্তির মোটরসাইকেল ও গাড়ি নিয়ে শোভাযাত্রা করে শহর প্রদক্ষিণ করে ত্রাস সৃষ্টি করেছেন। বাদিসহ মামলার সাক্ষী এবং বাদি পক্ষের লোকজনদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। তার এ সমস্ত কর্মকাণ্ডে জনমনে ভীতি সৃষ্টি হচ্ছে। জামিন বাতিল না করলে বাদি পক্ষের এবং সাধারণ মানুষের চরম ক্ষতি হবে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন বাতিল করে মুক্তিকে পুনরায় জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। এ দিকে মামলার সাক্ষী পুলিশ পরিদর্শক আবু ওবায়দা আদালতের হাজির হন। তার জবানবন্দি সম্পন্ন হলেও তাকে জেরার জন্য সময় চান আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। আদালত তাদের আবেদন মঞ্জুর করেন।উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তৎকালীন এমপি আমানুর রহমান খান রানা এবং তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের ওই সময়ের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার তথ্য বেরিয়ে আসে।