রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাদের জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক সাউদ হাসান।
এর আগে ওই ৩৫ জন আসামি হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার ফলদা ইউনিয়নে গুজব ছড়িয়ে নির্বাচনে সহিংসতা, সরকারি কাজে বাধা, নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপর হামলা চালানো হয়।এছাড়া কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব, পুলিশ সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
এর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ফাঁকাগুলি ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্ত শেষে ৪১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৫০০/৩০০০ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দেয় তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এতে ৪১ জন আসামির মধ্যে ফলদা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আকবর হোসেন, ফলদা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হান্নানসহ ৩৫ জন হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। পরে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের সময়সীমা শেষ হলে রোববার তারা নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভূঞাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জানান, নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এতে তদন্ত শেষে ৪১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৫০০-৩০০০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দেওয়া হয়। এর মধ্যে এজাহার নামীয় ৩৫ জন নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করেন। এদের মধ্যে একজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতা রয়েছে।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহম্মেদ আমার টাঙ্গাইলকে জানান, জামিন বাতিল হওয়া ওই ৩৫ জন আসামি এর আগে হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন।