র্যাব টাঙ্গাইলের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন পুলিশ সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ “রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-২০২০” পদকে ভূষিত হয়েছেন।
তিনি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রেষণে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী হতে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নে যোগদান করে অত্যন্ত সাহসিকতা ও সুনামের সাথে কাজ করে চলেছেন। লে. কমান্ডার মামুন, (জি), পিপিএম, বিএন ২০০৮ সালে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে কমিশন্ড অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি নৌ বাহিনীর বিভিন্ন জাহাজ ও নৌ ঘাঁটি এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডে সুনামের সাথে চাকুরী করেছেন। তিনি লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে ব্যানকন-৮ এ অংশগ্রহণ করেছেন।
তিনি র্যাব-১, সিপিএসসি, গাজীপুরে এবং র্যাব-১২ এর সিপিএসসি, বগুড়ায় দায়িত্ব পালন শেষে সিপিসি-৩, টাঙ্গাইলে গত ৬ মাস যাবৎ সফলভাবে র্যাবের কোম্পানি কমান্ডারের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, লে. কমান্ডার মামুন, র্যাব-১ এর স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার(সিপিএসসি, পোড়াবাড়ি, গাজীপুর) হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে ২০২০ সালে বিভিন্ন ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করে হত্যাকারী (৩০জন), জঙ্গি (৫জন), শীর্ষ সন্ত্রাসী (১৫ জন), ধর্ষক (৩০জন), অপহরণকারী (৩২ জন), মাদক ব্যবসায়ী (২১০জন), ছিনতাইকারী (৪৪ জন), ডাকাতি (৭৬) সহ প্রায় ৫০০ জন আসামিকে আটক করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
তিনি বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে উদ্ধার করেছেন বিদেশি পিস্তল (৭টি), ওয়ান শুটারগান (০৫ টি), বিয়ার (৩৫০ ক্যান), ইয়াবা (৩০,০০০ পিস), হিরোইন (১১৫ গ্রাম), বিদেশি মদ (৬৫), গাঁজা (৩০৪ কেজি), ফেনসিডিল (১৫০০ বোতল), দেশী মদ (১৮০০লিটার)সহ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৪ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা জরিমানা করে রাস্ট্রীয় কোষাগারে জমা করেছেন। এই দুঃসাহসিক অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তিনি ২০২০ সালে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পুলিশ সপ্তাহ ২০২২ সালে “রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-২০২০” পদকে ভূষিত হয়েছেন।
পরবর্তীতে তিনি সিপিএসসি, বগুড়া এবং সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল জেলায় চাঞ্চল্যকর ও মাদক অভিযান পরিচালনা করে র্সবমোট ৫৬০ জন আসামীকে আটক করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। র্যাব-১২ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় তিনি বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে উদ্ধার করেছেন ইয়াবা (৩১৯৯০ পিস), হেরোইন (১৩২৮ গ্রাম), গাঁজা (৫১১ কেজি), ফেন্সিডিল (৬৬৯৭ বোতল) উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি বহু আলোচিত অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি টাঙ্গাইল জেলাকে সন্ত্রাস, জঙ্গি ও মাদক মুক্ত করার লক্ষ্যে আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। উল্লেখ্য ২০১৯ সালে লে. কমান্ডার মামুন সাহসিকতা ও ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ আইজিপি ব্যাজ প্রাপ্ত হয়েছিলেন।তিনি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের গোপিনাথপুর (কলেজ মোড়) গ্রামের মরহুম হাজী মো. মোক্তার হোসেন শেখ ও মমতাজ বেগমের বড় ছেলে।
তিনি ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত এবং তার স্ত্রী ডা.জান্নাত উর্মি একটি মেডিকেল কলেজের সিনিয়র লেকচারার হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি তার ও পরিবারের সকলের জন্য টাঙ্গাইলবাসীর নিকট দোয়া চেয়েছেন যেন তিনি দেশ সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারেন।