প্রচণ্ড শীত সইতে না পেরে এবং বাংলার শ্যামল প্রকৃতির টানে প্রতি বছর টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে অতিথি হয়ে আসে ভিন দেশী পাখি। অতিথি পাখিতে ভরে ওঠে জলাশয়গুলো। ঘাটাইল শহরের অদূরেই ধলাপাড়ার চাপড়া বিল, দেওপাড়া কাটাখালী বিল ও নেদার বিলে এবারো এসেছে হাজার হাজার অতিথি পাখি। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো বিল এলাকা। দর্শনার্থীরাও ভিড় করছেন পাখি দেখতে। দিনের ক্লান্তি শেষে কাজের ফাঁকে অনেকেই ঘুরতে আসছেন ঘাটাইলের এসব বিলে। তুষারপাতা থেকে বাঁচতে হাজার হাজার কিলোমিটার দূর থেকে আসে অতিথি পাখিরা। পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ আর ঝাঁক বেঁধে আকাশে ওড়ার দৃশ্য বিমোহিত করে দর্শনার্থীদের।
কাটাখালী ও নেদারবিলে গিয়ে চোখে পড়ে এমনই দৃশ্য। এসব বিলের বেশির ভাগ জায়গায় ধান চাষের জন্য জমি তৈরি করছেন কৃষকরা। পাখিগুলো বসার জন্য তেমন কোনো সুযোগ না পাওয়ায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে উড়ে বেড়াচ্ছে। এখানে আসা দর্শনার্থীরা বলেন, আমরা প্রতি বছর এখানে বেশ কয়েকবার ঘুরতে আসি। বিশেষ করে শীতের সময়টা অনেক ভালো লাগে। অতিথি পাখিরা আসে, তাদের কিচিরমিচির শব্দ একটা সুরের পরিবেশ সৃষ্টি করে। স্থানীয় কয়েকজন কৃষক জানান, এখানে কয়েক বছর ধরে অনেক অতিথি পাখি আসছে। মানুষ পাখিদের বিরক্ত করে না। এগুলো বিলে থাকলে দেখতেও ভালো লাগে। তাই দেখতে ও সময় কাটাতে জেলা-উপজেলার দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসছে।
এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ বলেন, অতিথি পাখিরা শীতের সময় দূর-দূরান্ত থেকে আসে। প্রতি বছর তারা ঘাটাইলের ছোট-বড় জলাশয়ে বিশেষ করে ধলাপাড়ার নেদারবিল, দেওপাড়া কাটাখালি বিল ও চাপড়াবিলে আসে।
অতিথি পাখিরা যেখানে তাদের খাবারের সুবিধা বেশি পাবে, নিরাপদ আশ্রয়স্থল পাবে সেখানেই যাবে। আমাদের উচিত পাখিগুলোকে অত্যাচার না করে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করে দেয়া।