টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বসতঘর থেকে উদ্ধার হওয়া তিন জনের লাশের পরিচয় মিলেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ধারণা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে। শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে উপজেলার দিঘর ইউনিয়নের কাশতলার খামারপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে তাদের লাশ পাওয়া যায়।
টাঙ্গাইলের র্যাব-১২ সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নিহতরা হলেন ওই গ্রামের সৌদি প্রবাসী জয়নুদ্দিনের স্ত্রী সুমি আক্তার (২৫), জয়নুদ্দিনের মা জমেলা বেগম ও শাহজালাল ইসলাম সোহাগ (৩০)। শাহজালাল কালিহাতী উপজেলার সাতুটিয়া পূর্বপাড়া এলাকার সোহরাব আলীর ছেলে। র্যাব কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জমেলা, সুমি ও শাহজালাল নামের তিন জনের লাশ বসতঘরে পাওয়া গেছে। এ সময় সুমির শিশু সন্তান শাফিকে (৩) গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।তিনি আরও বলেন, লাশের পাশে ছুরি ও হাতুড়ি পাওয়া গেছে। সিআইডির ক্রাইম সিনের টিম ঘটনাস্থলে আসছে। তারা আসলে লাশ থানায় নেওয়া হবে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে দিঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মামুন আমার টাঙ্গাইল কে বলেন, একই পরিবারের শাশুড়ি, ছেলের বউ এবং শাহজালাল নামের এক ব্যক্তির লাশ বসতঘরে পাওয়া গেছে। শাহজালালের সঙ্গে সুমির বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। প্রায় ৬ মাস আগে শাহজালালের সঙ্গে সুমি পালিয়ে গিয়েছিল। শুনেছি তারা বিয়েও করেছিল। পরে সুমির স্বামী বিদেশ থেকে ফিরে আবার তাকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিল।এরপর সুমির স্বামী বিদেশে চলে যান। হত্যাকাণ্ড নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।’
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়ছার আমার টাঙ্গাইল কে বলেন, ‘ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উদঘাটনের জন্য সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ প্রক্রিয়াধীন। সাক্ষ্যপ্রমাণ হাতে পেলে মতামতের জন্য বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠাবো। মতামত আসার পরই আমরা বিস্তারিত জানাতে পারবো। তখন নিশ্চিত করে বলতে পারবো হত্যাকাণ্ডের রহস্য। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, ঘটনাটি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ঘটেছে।’
দেয়ালের লেখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেয়ালে লেখাটি কে লিখেছে এটি আমরা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা যাদের সন্দেহ করছি, তাদের লেখা বাড়ি থেকে সংগ্রহ করেছি। এই লেখার সঙ্গে মিলিয়ে আমরা বলতে পারবো, কে লিখেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’