টাঙ্গাইলের নাগরপুরে একটি সেতুর অভাবে সাত গ্রামের মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার পংবাইজোড়া-দেইল্লা সড়কের ধলেশ্বরীর শাখা নদীর উপর সেতু না থাকায় ঝুঁকি ও সীমাহীন কষ্টে চলাচল করতে হচ্ছে সাত গ্রামের মানুষকে।
জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। সাঁকোটি এখন ওই সাত গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা।নাগরপুর উপজেলার মোকনা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাত গ্রামের মানুষের উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। এ সড়ক দিয়ে পংবাইজোড়া, লাড়–গ্রাম, দেইল্লা, স্বল্প লাড়–গ্রাম, নিউ চৌহলী পাড়া, পংবড়টিয়া ও ঘুণি গ্রামের হাজারও মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেন। সেতু না থাকায় বর্ষায় নৌকা যোগে ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়।স্থানীয় জরু খান বলেন, একটি সেতুর অভাবে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে আছি। সব এলাকার উন্নয়ন হলোও আমাদের এখানে হয় না। শুধু একটি সেতুর অভাবে পিছিয়ে যাচ্ছি।
দেইল্লা গ্রামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, সুস্থ মানুষ সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়ছেন। অসুস্থদের অবস্থা বলার মতো নয়। বেশি সমস্যা হয় প্রসূতিদের নিয়ে।মোকনা ইউপির ২নং ওয়ার্ড সদস্য রিয়াজ উদ্দিন খান রাজা আমার টাঙ্গাইল কে বলেন, তিন বছর আগে স্থানীয়ভাবে এখানে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করি। ঝুঁকিপূর্ণ ওই সাঁকো দিয়েই আজও চলাচল করতে হচ্ছে।মোকনা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান খান বলেন, সেতু নির্মাণে একাধিকবার প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কার্যালয় থেকে একশ ৫০ ফুট সেতুর পরিমাপ করলেও নির্মাণ হচ্ছে না। সেতু নির্মাণ এখন প্রাণের দাবি বলে জানান তিনি।