কিউইদের সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় ডোবাল টাইগাররা!

ঘরের মাঠে বাংলাদেশ যে কতটা ভয়ংকর, অস্ট্রেলিয়ার পর হারে হারে টের পাচ্ছে নিউজিল্যান্ডও। মিরপুরে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতেই টাইগারদের বোলিংয়ে রীতিমত পর্যদুস্ত কিউইরা।

মোস্তাফিজ-সাকিব-নাসুমদের তোপে এবার টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় ডুবেছে নিউজিল্যান্ড। টম ল্যাথামের দল ১৬.৫ ওভারেই অলআউট হয়েছে ৬০ রানে। এটি যৌথভাবে তাদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বনিম্ন।এর আগে এই ফরমেটে নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে কমে অলআউট হওয়ার রেকর্ডটিও ছিল ৬০ রানের। ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে বাংলাদেশেরই মাঠে (চট্টগ্রামে) তাদের ১৫.৩ ওভারে গুটিয়ে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।

স্পিনে নিউজিল্যান্ডের দুর্বলতাটা চিরকালীন। সেই সুযোগটা শতভাগ কাজে লাগালেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ইনিংসের প্রথম ৫ ওভার করালেন শুধু স্পিনারদের দিয়ে।বুদ্ধিটা কাজেও লাগলো বেশ। শুরু থেকেই স্বাগতিক স্পিনারদের ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে পড়ে টস জিতে ব্যাটিং করতে নামা কিউইরা। ৯ রানের মধ্যে হারিয়ে বসে শীর্ষ ৪ ব্যাটসম্যানকে। মোটে তখন ৪ ওভার পেরিয়েছে ইনিংসের।

বরাবরের মতো অফস্পিনার শেখ মেহেদি হাসানকে তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করেছেন মাহমুদউল্লাহ। প্রথম ওভারটিই তুলে দেন তার হাতে। মেহেদিও ব্রেক থ্রু এনে দিতে ভুল করেননি। ইনিংসের তৃতীয় বলে কিউই অভিষিক্ত রাচিন রবিন্দ্রকে (০) ফিরতি ক্যাচ বানান তিনি।পরের ওভারটি করেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে আলো ছড়ানো নাসুম আহমেদ। ওই ওভারে উইকেট না গেলেও বেশ অস্বস্তিতে দেখা যায় কিউইদের।

তৃতীয় ওভারে অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ। নিজের পঞ্চম বলে ‍উইল ইয়ংকে (৫) বোল্ড করেন সাকিব। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল উইকেটে টেনে এনে দলের বিপদ বাড়ান ইয়ং।

চতুর্থ ওভারে নাসুমের জোড়া আঘাত। চার বলের ব্যবধানে ফিরিয়ে দেন দুই কিউই ব্যাটসম্যানকে। ওভারের তৃতীয় বলে বাঁহাতি স্পিনারকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে নাইম শেখের সহজ ক্যাচ হন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম (১), দুই বল পর বোল্ড টম ব্লান্ডেল (২)।

কঠিন সে বিপর্যয় থেকে কিউইদের টেনে তোলার চেষ্টা করেন অধিনায়ক টম ল্যাথাম। হেনরি নিকোলসকে নিয়ে ৪০ বলে ৩৪ রানের একটি জুটিও গড়েন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর ধৈর্য ধরে রাখতে পারেননি।

ইনিংসের একাদশতম ওভারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে পুল করতে গিয়ে টাইমিং মিস করে ফাইন লেগে নাসুমের ক্যাচ হন ল্যাথাম (২৫ বলে ১৮)। এরপরই ভেঙে যায় সব প্রতিরোধ।

কোল ম্যাকঞ্চি (০) আর হেনরি নিকোলস (২৪ বলে ১৮) ফেরেন পরের টানা দুই ওভারে। ম্যাকঞ্চিকে ফেরান সাকিব, নিকোলসকে সাইফউদ্দিন। এরপর লেজটা উপড়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান, শেষ ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনিই। কাটার মাস্টারের মোট খরচ ১৩ রান।

সাকিব ৪ ওভারে ১০, নাসুম ২ ওভারে ৫ আর সাইফউদ্দিন ২ ওভারে ৭ রান দিয়ে নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। বাকি উইকেট শেখ মেহেদি হাসানের। ৪ ওভারে তিনি খরচ করেন ১৫ রান।

Share this post

PinIt
submit to reddit

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top