বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক পাঁচ খুনির মধ্যে রাশেদ চৌধুরী ও নূর চৌধুরী ছাড়া বাকি তিনজনের অবস্থানের ব্যাপারে সরকারের কাছে কোনো তথ্য নেই। এই তিন খুনির ব্যাপারে সঠিক তথ্য দিতে পারলে পুরস্কার দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
রোববার (১৫ আগস্ট) সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।পলাতক অপর তিন খুনি হলেন- খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেম উদ্দিন। তাদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই।
কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেয়া নূর চৌধুরী ও রাশেদ চৌধুরীর বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কানাডার বিশেষ আইন আছে যে তারা কোনো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ফিরিয়ে দেয় না। আমরা অনুরোধ করবো- নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে দিতে। আর রাশেদ চৌধুরীর নথি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’এ সময় তিনি জিয়াউর রহমান, এইচ এম এরশাদ ও খালেদা জিয়া সরকারের আমলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মদদ দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ড. মোমেন।
তিনি বলেন, ‘তাদের (খুনি) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আমরা এতদিন পর মামলাটি হাতে নিয়েছি। আমি দেশবাসীকে বলবো- আপনারা এতদিন খুনিদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেননি কেন? করলে হয়তো এসব সরকার তাদের এত মদদ দিত না।’প্রবাসীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘খুনিরা যেখানে অবস্থান করছেন, তাদের বাড়ির সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করুন। সেসব দেশের সরকার জানুক, সেখানে খুনি আছেন। তাহলে খুনিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাপ তৈরি হবে।’
অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আব্দুল মোমেন। এ সময় সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।এ সময় বঙ্গবন্ধুসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত সব শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রসচিব শোক দিবস উপলক্ষে মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে গাছের চারা রোপণ করেন।