ঈদকেন্দ্রিক মোটাতাজা গরুর নাম মেসি, নেইমার, হিরো আলম, বাংলার রাজা, বাংলার বসসহ বিভিন্ন নামে নামকরণ করা হলেও এবার টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে রাজস্থান হারিয়ানা জাতের দুটি ছাগলের নাম রাখা হয়েছে মেসি ও নেইমার। ঈদকে কেন্দ্র করে কোরবানিযোগ্য এ ছাগল দুটির আর্কষণ হিসেবে ফুটবল তারকাদের নামে নাম রাখেন তাদের মালিক।জানা যায়, বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী পশুর হাটে তোলা হয় ১৮০ কেজি ওজনের মেসি ও নেইমারকে।
এ সময় খামারি শাহিনুল ইসলাম ছাগল দুটির দাম হাঁকান ৫ লাখ টাকা। তবে হাটে কাঙ্ক্ষিত দামে বিক্রি না হওয়ায় বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যান তিনি। কালো রং এবং সাড়ে তিন ফিট লম্বা ও প্রায় তিন ফিট উচ্চতার মেসি ও নাইমার ছাগল দুটি দেখতে মানুষ ভিড় করছেন প্রতিনিয়ত।
উপজেলার যদুরগাতি গ্রামের খামারি শাহীনুল ইসলাম জানান, ছাগল দুটি জেলার সবচেয়ে বড়। তিন বছর ধরে আদর-যত্নে লালনপালন করেছি। মেসি ও নেইমারকে দেশীয় খৈল, ভুট্টা, ভুসি ও গাছের পাতা খাওয়ানো হয়েছে। দুটির ওজন ১৮০ কেজি। দাম চাওয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা। তবে হাটে কাঙ্ক্ষিত দাম এবং ক্রেতা না পাওয়ায় বিক্রি করা যায়নি মেসি ও নেইমারকে।
তিনি বলেন, কোরবানির গরুর নাম অনেকেই অনেক নামে রাখেন। ছাগল দুটি মোটাতাজা এবং দেখতে খুবই সুন্দর। তাই ছাগল দুটির আকর্ষণ বাড়াতে তাদের নাম জনপ্রিয় বিদেশি দুই ফুটবল তারকার নামে নাম রেখেছি। স্থানীয় হাটে বিক্রি না হওয়ায় মেসি ও নেইমারকে নেওয়া হবে ঢাকায়। এখন পর্যন্ত কেউ দুটির দাম বলেনি। ৫ লাখ টাকা চাইলেও কাঙ্ক্ষিত দাম পেলে আলোচনাসাপেক্ষে বিক্রি করা হবে।
ভূঞাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. স্বপন দেবনাথ জানান, রাজস্থান হারিয়ানা জাতের ছাগল দুটি উপজেলায় সবচেয়ে বড়। এই জাতের ছাগল অল্প সময়ে দ্রুত বর্ধনশীল হয়। খামারিও বেশি লাভ করতে পারে। এ জাতের ছাগল বেশি মাংসের জন্য খামারিরা লালনপালন করে থাকেন। ছাগল দুটির ওজন প্রায় ১৮০ কেজি।