কয়েকদিনের বর্ষণ ও উজানের ঢলে যমুনা নদীর পানি বেড়ে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের আলীপুর, দুর্গাপুর ইউনিয়নের ভৈরববাড়ী এলাকায় শুক্রবার হঠাৎ ভাঙন দেখা দেয়।
দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম আনোয়ার হোসেন জানান, গত কয়েক দিন ধরেই ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এসব এলাকার লোকজন।ভাঙনের ফলে প্রতিবছর ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কালিহাতী নিবাসী এ্যাডভোকেট রুহুল শিকদার জানান, এ বছরের বর্ষার শুরুতেই গত কয়েক দিনের ভাঙনে অন্তত ১২টি ঘরবাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। শতাধিক বাড়ি, আলীপুর মসজিদ, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়, দাখিল মাদ্রাস ও মন্দিরসহ শত শত পাকা-আধা পাকা ঘরবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে।মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদসহ স্থানীয় কয়েকজন ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, “টাঙ্গাইল সদরসহ যে যে এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে ওইসব এলকায় অস্থায়ীভাবে ভাঙন ঠেকাতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কাজ করার অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছি; অনুমতি পেলেই কাজ শুরু করা হবে।”
অপরদিকে, কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী এলকায় যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর মুখ পয়েন্টে পানি চলাচলের জন্য দুই পাশে ভাঙন প্রতিরোধে ব্লক ফেলার কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান এই নির্বাহী প্রকৌশলী।
তবে প্রতিবছর টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেললেও তা কোনো কাজে আসছে না উল্লেখ করে দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী