টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালকসহ ৩৫ জন চিকিৎসক ও নার্স করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে তারা নিজেরাও আক্রান্ত হয়েছেন। এ ঘটনায় চিকিৎসকরা চরম হতাশায় ভুগছেন। হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. খন্দকার সাদিকুর রহমান আমার টাঙ্গাইলকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমি বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) দুপুরে নমুনা দিয়েছিলাম। পরে নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ এসেছে। আমি ছাড়াও এ হাসপাতালে আরও চার চিকিৎসক ও ৩০ নার্স করোনা পজিটিভ হয়েছেন। এছাড়াও আমার স্ত্রী ও ছেলেও করোনা পজিটিভ হয়েছে।’তিনি আরও বলেন, ‘এ হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে।’ এই মুহূর্তে হাসপাতালে আরও ২০ জন চিকিৎসক প্রয়োজন বলেও তিনি জানান।
অপরদিকে এ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেলার বিভিন্ন এলাকার সাত জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৮১ জন ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৫৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৫৪ জন করোনা শনাক্ত রোগী হয়েছেন। বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা ৬৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৫৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়। আক্রান্তের হার ৩৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৫৭৫ জনে। আর এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৪৬ জনের।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান আমার টাঙ্গাইল কে বলেন, ‘জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে। করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মানার কোনও বিকল্প নেই।’ বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়াসহ সবাইকে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি।