শ্রমিকদের জন্য টিকা চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বিজিএমইএ’র চিঠি!

চলমান বিধিনিষেধেও চালু রয়েছে পোশাক কারখানা। করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির এই সময়ে ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছেন শ্রমিকরা। এ অবস্থায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের টিকা প্রদানের দাবি বেশ কয়েকদিন ধরেই। একই সঙ্গে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থারও দাবি তাদের। তবে তৈরি পোশাক মালিক ও রফতানিকারক সমিতি-বিজিএমইএ বলছে, পোশাকশিল্পের শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জরুরি ভিত্তিতে করোনার টিকা দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইতিবাচক আশ্বাস দেয়া হয়েছে বলেও জানায় পোশাক শিল্পের এ সংগঠনটি।

শ্রমিক সংগঠনগুলো বলছে, চলমান বিধিনিষেধে প্রায় সব শ্রম সেক্টর বন্ধ থাকলেও গার্মেন্টস সেক্টর চালু রেখেছে সরকার। মালিকদের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা ও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ খাত চালু রাখার কথা বলা হলেও তা মানা হচ্ছে না। কারখানার আশপাশে থাকা শ্রমিকরা পূর্বের মতো পায়ে হেঁটে কারখানায় আসলেও দূরে অবস্থান করা শ্রমিকরা পড়েছেন বিপাকে। সম্প্রতি করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ডেল্টা) বিস্তৃতির ফলে সবচেয়ে হুমকির মুখে পড়েছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। জরুরি ভিত্তিতে তাদের করোনা টিকা দেয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।বিজিএমইএ বলছে, শিল্পের সব শ্রমিক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিদেশিদের জরুরি ভিত্তিতে করোনার টিকা দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকেও ইতিবাচক আশ্বাস পাওয়া গেছে। গত ১৬ জুন বিজিএমইএ সভাপতি ও পর্ষদ সদস্যরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেদিনই পোশাকশিল্পে করোনা টিকা সরবরাহ করা হবে মর্মে মন্ত্রী আশ্বাস দেন।

এ বিষয়ে বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমরা পোশাক খাতের সব শ্রমিকের জন্য টিকা চেয়েছি। পাশাপাশি এ খাত সংশ্লিষ্ট বিদেশি বায়ারদের জন্যও টিকার কথা বলেছি। আমরা গত মাসে মৌখিকভাবে চেয়েছিলাম, কিন্তু সোমবার (৫ জুলাই) চিঠির মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হয়েছে।’

Share this post

PinIt
submit to reddit

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top