টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের নাম ভাঙিয়ে ঘর পাইয়ে দিতে প্রতারণা করে দুস্থ ও অসহায়দের কাছ থেকে একটি চক্র কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত প্রতারক চক্রের মূল হোতা ভূঞাপুর উপজেলার আমূলা গ্রামের ফয়সাল আহমেদ ও কালিহাতী উপজেলার নগরবাড়ী গ্রামের শ্যামল চন্দ্র দাস
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ফয়সাল, শ্যামল ও নিমাইসহ তাদের কিছু লোকজন দুই শতাধিক পরিবারের কাছ থেকে পাকা ভবন নির্মাণ করে দেয়ার কথা বলে প্রতিজনের কাছ থেকে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে আদায় করেছেন।
ইতিমধ্যে ভুক্তভোগীদের আস্থা অর্জন করতে সিংগুরিয়া বাজার সংলগ্ন একটি বাড়িতে নিজস্ব অর্থায়নে পাকা ঘর নির্মাণের কাজ করেছেন।
ঘর পাওয়ার আশায় টাকা প্রদানকারী বিলকাচিনার মিন্টু মিয়ার ছেলে হুমায়ুন, আব্দুর রহিমের ছেলে চাঁন মিয়া, আ. কাদেরের ছেলে কামাল হোসেন, শমসের আলীর ছেলে আমিনুর, যদুরপাড়ার হাছেন আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ, শামসুল হকের ছেলে হাবিব, তালতলার শরবেশ আলীর ছেলে আলম, সিংগুরিয়ার মতিলালের ছেলে ফোরেন ও সুজন জানান, তারা দরিদ্র অসহায় বিধায় পাকা ঘর তৈরি করার মতো প্রয়োজনীয় টাকা তাদের নেই।
৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে পাকা ঘর পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফয়সাল, শ্যামল ও নিমাই তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন। এখন ঘর নির্মাণের জন্য তাগিদ দিলে তারা বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপণ করছেন।
সিংগুরিয়ার গ্রামের হুমায়ুনের মেয়ের জামাতা তরিকুল বলেন, ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ফয়সাল ও শ্যামলের কাছ থেকে আমরা একটি ঘর পেয়েছি। ইতিমধ্যে ঘরের অর্ধেকের বেশি কাজ শেষ হয়েছে। ঘর পেয়ে আমরা খুব খুশি।
ঘর দেয়ার নামে অর্থ গ্রহণকারী ফয়সাল ও শ্যামল চন্দ্র দাস জানান, আমরা কিছু লোকের কাছ থেকে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে নিয়েছি। ঘর তৈরি করার প্রকল্পের কাজে ঘোরাফেরা করতে অনেক টাকা খরচ হয়। এ কারণে আমরা উপকারভোগীদের কাছ থেকে কিছু টাকা খরচ বাবদ নিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা তানজিন অন্তরা বলেন, কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে কাউকে ঘর দিয়ে সহযোগিতা করতে চায় তবে পারবে। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে সরকারি ঘর পাইয়ে দেয়ার নাম করে কেউ প্রতারণা করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেতে কোনো প্রকার টাকা লাগে না বলেও তিনি জানান।