ধনবাড়ীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির রাস্তার দুপাশের গাছ অবৈধভাবে কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।  

উপজেলার বলিভদ্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুরুজ্জামান মিন্টু তার ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বড় বড় ৮ থেকে 
৯টি আকাশমনি (একাশি) গাছ কেটে ফেলেছেন।

এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে স্থানীয় আব্দুল কাদের, ফারুক হোসেন, শরাফত আলী ও কামরুজ্জামান ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।  

লিখিত অভিযোগের অনুলিপি সহকারী কমিশনার (ভূমি) ধনবাড়ী, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ধনবাড়ী থানা এবং ধনবাড়ী প্রেসক্লাব টাঙ্গাইল বরাবর দাখিল করছেন।  

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ধনবাড়ী চৌরাস্তা হয়ে কেরামজানী রাস্তার বলিভদ্র ইউনিয়নে এলজিইডি কর্তৃক রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। এজন্য বলিভদ্র ইউনিয়নে কাননিআটা থেকে বলিভদ্র বাজার পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশের মাটি গর্ত করা হয়েছে। এই সুযোগে ইউপি চেয়ারম্যান কাননিআটা মোড় থেকে আশপাশের বড় আকারের ৮/৯টি একাশি গাছ তার লোকজন দিয়ে কেটে ফেলেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে ইউপি চেয়ারম্যান রাতের অন্ধকারে ভ্যান গাড়ি দিয়ে কিছু গাছ সরিয়ে ফেলেন।  

এদিকে এলাকাবাসীর কাছে খবর পেয়ে ধনবাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসান মো. হাফিজুর রহমান টুটুল বুধবার (২৮ এপ্রিল) ঘটনাস্থলে গিয়ে কিছু গাছের গুঁড়ি জব্দ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে নিয়ে আসেন। শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায় বর্তমানে জব্দকৃত গাছের গুঁড়িগুলো উপজেলা পরিষদ চত্বরেই রাখা আছে।

বলিভদ্র ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে সাহস পান না। তিনি এই পরিষদে আসার পর থেকেই গাছ কাটা শুরু করছেন।  

চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী বলিভদ্র ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামকে (২২) সঙ্গে নিয়ে দলের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম করছেন তিনি। অনিয়মের কারণে উপজেলা ছাত্রলীগ কয়েকদিন
আগে তাকে বহিষ্কার করেছে।

গাছ কাটার বিষয়টি বলিভদ্র ইউপি চেয়ারম্যান সরুজ্জামান মিন্টুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে ইউএনও স্যার আমাকে মৌখিকভাবে অনুমতি দিয়েছেন। এছাড়া হীরা ভাইয়ের (ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান) সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে 
বিস্তারিত পরে আপনাদের জানাবো।  

এ ব্যাপারে ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ শামছুল আরেফীন জানান, গাছ কাটার ব্যাপারে চেয়ারম্যানকে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। উপজেলা প্রশাসন এলাকাবাসীর কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কিছু গাছর গুঁড়ি উদ্ধার করতে পেরেছেন। গাছগুলো সামাজিক বনায়নের। তিনি এগুলো কাটতে পারেন না। তার বিরুদ্ধে শিগগিরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

Share this post

PinIt
submit to reddit

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top